জি এম মিন্টু: যশোরের কেশবপুরে আওয়ামীলীগের নেতা আকরামের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় স্থানীয় মেম্বরসহ ৮ জনের নামে থানায় মামলা রেকর্ড হয়েছে। তদন্ত শেষে ১৪ নভেম্বর কেশবপুর থানা পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করেন। যার নং-০৭। থানায় মামলা করায় আসামীরা বৃহস্পতিবার রাতে প্রকাশ্যে বাদীর বাড়ীতে ঢুকে তার পরিবারকে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকী দেয় বলে বাদীর স্ত্রী নাজমা খাতুন সাংবাদিকদেরকে জানান। আসামীরা এলাকায় প্রকাশ্যে বিচরন করায় বাদী তার পরিবার নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিনাতিপাত করছেন।
মামলার বিবারনে জানা গেছে, গত ১১ নভেম্বর সকালে উপজেলার শাহাপুর গ্রামের মৃত ইব্রাহিম শেখের ছেলে আওয়ামীলীগের নেতা আকরাম শেখ সরসকাটি বাজারস্থ কলেজের সামনে তার খাদ্য বান্ধব কর্মসূচী ১০ টাকা কেজি চাউল বিক্রির ডিলারে নিজে উপস্থিত হয়ে আগত ব্যক্তিদের মাঝে চাউল বিতরন করছিলেন। এসময় সরসকাটি গ্রামের কোমর উদ্দীন সরদারের ছেলে মোফাজ্জেল হোসেন, ছেলে আব্দুল কুদ্দুস, জসিম উদ্দীন, কাসেম গাজীর ছেলে হাসান আলী, শাহাপুর গ্রামের মেম্বর রবিউল ইসলাম, তার ভাই তোফাজ্জেল হোসেন, শহিদুল ইসলাম, বাঁশবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে হৃদয় হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৬ জন ব্যক্তি হাতে লোহার রড ও বাঁশের লাঠি নিয়ে আওয়ামীলীগ নেতা আকরাম (৪৬) কে সন্ত্রাসী কায়দায় মারপিট করে আহত করে। ঠেকাতে এলে হামলাকারীরা তার স্ত্রী নাজমা খাতুন (৪০) কে মারপিট করে। এসময় তারা তার দোকানের ক্যাশ ড্রয়ার খুলে নগদ ৬০ হাজার টাকা ও তার স্ত্রীর গলায় থাকা ৩৬ হাজার টাকা মূল্যের একটি স্বর্নের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আওয়ামীলীগ নেতা আকরাম শেখ জানান, তিনি বিগত সংসদ নির্বাচনে ১ নং ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন নৌকার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির যুগ্ন আহবায়কের দায়িত্বে ছিলেন। নিঃশ্বার্থভাবে এলাকাবাসীর সার্বিক সহযোগীতা ও সেবা প্রদান করায় স্থানীয় জনগন রবিউল মেম্বরকে পরিত্যাগ করে তার কাছে সরানোপন্ন হওয়ার কারনেই ঐ মেম্বর ঈর্ষান্নিত হয়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে তার উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। আকরাম শেখ বাদী হয়ে গত ১১ নভেম্বর স্থানীয় মেম্বর রবিউলসহ উল্লেখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কেশবপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।