বাংলাদেশ প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়ে আশুতোষ সাধু নামে এক শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। ওই শিক্ষক সদর উপজেলার আগরদাড়ী ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের মৃত বিষন্নপদ সাধুর ছেলে। গতকাল সোমবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ঘরের জিনিসপত্র লুট করার জন্য গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রোববার অজ্ঞানপার্টি শিক্ষক আশুতোষ সাধুর বাড়িতে এসে পরিবারের অজান্তে তাদের খাদ্যের পাত্রে বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে দেয়। ওই দিন রাত ৯টার দিকে আশুতোষ সাধু ও তার স্ত্রী ঝর্না সাধু এবং তার মেয়ে ভাত খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর রাত ১১টার দিকে ৪-৫ অজ্ঞানপার্টি সদস্যরা আশুতোষ সাধুর ঘরে প্রবেশ করে ঘরের জিনিসপত্র লুটপাট করার সময় আশুতোষ সাধুর স্ত্রী ঝর্না তাদের দেখতে পান। তখন তাদের বাধা দিলে আশুতোষ সাধুর স্ত্রী ঝর্নার সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে ঝর্না ও তার মেয়ে ডাক চিৎকার করলে এলাকাবাসী ছুটে আসলে অজ্ঞানপার্টি আশুতোষ সাধুর বাড়ি থেকে একটি মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে ঘুমিয়ে থাকা আশুতোষ সাধুর ডাকতে গিয়ে তার স্ত্রী ঝর্ণা দেখেন আশুতোস সাধুর মুখ দিয়ে সাদা ফেনা বের হচ্ছে এবং কিছুক্ষণ পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে আশুতোষ সাধুর স্ত্রী ও তার মেয়ে। রাতেই সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে তাদের ভর্তি করা হয়। কিন্তু আশুতোষ সাধুর কোনো উন্নতি না হওয়ায় পরদিন সোমবার সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল থেকে তাকে খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সোমবার রাত ২টার দিকে আশুতোষ সাধু মারা যান বলে তার পরিবার জানায়। বর্তমান তার স্ত্রী ও মেয়ে সুস্থ হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ঘটনাটি শুনেছি। তবে কারো বিরুদ্ধে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ নেই। তারা কোনো মামলাও করতে চান না।