বাংলাদেশ প্রতিবেদক: মানিকগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় গত তিন দিনে বিদেশ ফেরত ১০৯ জন ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেনটাইনে রাখা হয়েছে। তাদের শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ না থাকলেও বিদেশ থেকে আসায় তাদের নিজ নিজ বাড়িতে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন জেলার সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল আমিন আখন্দ। তিনি জানান, বিদেশ ফেরত আরও ৩০ ব্যক্তিকে নিজ নিজ বাড়িতে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া গতকাল বুধবার ২০ জন এবং গত মঙ্গলবার ৫৯ জনসহ মোট ১০৯ জনকে তাদের বাড়িতে কোয়ারেনটাইনে রাখা হয়েছে। তারা সম্প্রতি ইতালি, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা, সৌদি আরব ও সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরেছেন।
সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল আমিন আখন্দ বলেন, ‘করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের পুরাতন ভবনের দ্বিতীয় তলায় ১২ বেডের আইসোলেশন ইউনিট করা হয়েছে। সদর উপজেলার কেওয়ারজানি এলাকায় আঞ্চলিক জনসংখ্যা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ১০০ শয্যার কোয়ারেনটাইন ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’
আনোয়ারুল আমিন আরও জানান, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ১১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটিতে সভাপতি হিসেবে আছেন জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস। সদস্য সচিব পদে আছেন তিনি নিজে। এ ছাড়া প্রতিটি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) সভাপতি ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে সদস্য সচিবকে করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণে থাকা ব্যক্তিদের খোঁজ খবর নিচ্ছেন।
মানিকগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল আমিন আখন্দ আরও জানান, ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে ৯ সদস্যবিশিষ্ট কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনা কমিটি করা হয়েছে। এই কমিটিতে সিনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডা. সাকিনা আনোয়ারকে প্রধান করা হয়েছে। হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিটে রোগীদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা ও তা রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো এই কমিটির প্রধানতম কাজ।