বাংলাদেশ প্রতিবেদক: সিলিং ফ্যানে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেছেন কলেজছাত্রী মিতা সরকার। লাশের পাশেই একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। তাতে লেখা ছিল ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’।
বুধবার (১৮ মার্চ) দুপুরে চাঁদপুর শহরের কদমতলা এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে কলেজছাত্রী মিতা সরকারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
জানা গেছে, মিতা সরকার চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। তার বাবার নাম মনমোহন সরকার। বড়বোন কবিতা সরকার আর ভগ্নিপতি সবুজ সরকারের সঙ্গে চাঁদপুরে শহরের কদমতলার ওই ভাড়া করা ফ্ল্যাটে থাকতেন মিতা সরকার। এর আগে মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) বোন ও ভগ্নিপতি জেলার কচুয়ায় বেড়াতে যান। তাদের সঙ্গে মিতা সরকারও ছিলেন। কিন্তু তাদের রেখেই চাঁদপুর ফিরে আসেন তিনি। পরে স্বজনরা সংবাদ পান মিতা সরকার আত্মহত্যা করেছেন।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পরিদর্শক কবির হোসেন জানান, লাশের পাশে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। তাতে লেখা ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. নাসিম উদ্দিন বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে এটি মিতা সরকারের হাতের লেখা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে কী কারণে এ কলেজছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মিতা সরকারের ভগ্নিপতি সবুজ সরকার জানান, তিনি পল্লী চিকিৎসক। জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার বৈচাতরী বাজারে তার ফার্মেসি রয়েছে। শ্যালিকা তার বাসায় থেকেই চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজে পড়াশোনা করতো।
মিতার বোন কবিতা সরকার জানান, গতবছর এইচএসসি পরীক্ষায় তার বোন অকৃতকার্য হয়। তাই এবার ভালো করে পরীক্ষা দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিল। কিন্তু কী কারণে মিতা আত্মহত্যা করেছে তা নিয়ে তারও প্রশ্ন।
কলেজছাত্রী মিতা সরকার আত্মহত্যার ঘটনায় চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মিতা সরকার কেনো আত্মহত্যা করেছে, তা নিশ্চিত হওয়ার দাবি জানিয়েছে তার সহপাঠীরা।