অতুল পাল: বাউফল(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: বাউফলের আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের মহাশ্রাদ্ধি গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে এসে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে সোমবার(১৩ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে এক ব্যাক্তির (৪৫) মৃত্যু হয়েছে। তিনি ঢাকায় একটি ব্যাক্তি মালিকানা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। পাঁচদিন আগে সে জ্বর-সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে স্ত্রী ও সন্তানসহ ঢাকা থেকে বাউফলে শ্বশুর বাড়িতে এসেছিলেন। মৃত্যু ব্যাক্তির গ্রামের বাড়ি পার্শ্ববর্তী গলাচিপা উপজেলার বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের পশ্চিম পাতাবুনিয়া গ্রামে। এঘটনায় ওই গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা জানান, মৃত্যু ব্যাক্তি তেমন একটা বাড়ির বাহির হতেন না। তবে স্থানীয় ওষুধের দোকান থেকে জ্বর-সর্দির ওষুধ কিনে খেতেন। বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক এসএম সায়েম জানান, মৃত্যু ওই ব্যাক্তি অন্য রোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বাউফলে আসার পর সে আত্মগোপণে ছিলো। মৃত্যুর পর আমরা জানতে পেরেছি মৃত্যু ব্যাক্তির জ্বর, সর্দি-কাশি এবং শ্বাসকষ্ট ছিল। এই উপসর্গগুলোর কথা শুনে ধারণা করা হচ্ছে মৃত্যু ব্যাক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েই মারা গেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার সাহা জানান, মৃত্যু ব্যাক্তির তথ্য তাদেরকে কেউ জানায়নি। এমন কি মারা যাওয়ার প্রায় তিন-চার ঘন্টা পর আমরা জানতে পেরেছি। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার পর তিন ঘন্টার মধ্যে নমূণা সংগ্রহ করতে হয়। যেহেতু সে সময়টা শেষ হয়ে গেছে তাই তার নমূণা সংগ্রহ করা হয়নি। তবে ওই পরিবারের সকলের নমূণা সংগ্রহ করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, মৃত্যু ব্যাক্তির মধ্যে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। টেস্টের ফলাফল না পাওয়া পর্যন্ত সঠিক কারণ বলা সম্ভব নয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন জানান, মৃত্যু ব্যাক্তির দাফন করোনা প্রটোকল অনুসারেই হবে। পরিবারের সদস্যদের নমূণায় পজেটিভ পাওয়া গেলে ওই গ্রামটি লক ডাউন করা হবে কী না সে ব্যপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে পরিবারের লোকদের হোম কোয়ারেন্টামে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।