বাংলাদেশ প্রতিবেদক: নাটোরে কিশোরী মেয়ের সামনেই মাকে কুপিয়ে হত্যা করল বাবা। স্থানীয়দের অভিযোগ, স্ত্রী শিল্পীর টাকা ছিনিয়ে নিতে গিয়েই এ হত্যাকাণ্ড। গত রাত ২টার দিকে সদর উপজেলার নারায়ণপুরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক মনির।
মায়ের ওপর সহিংসতার বর্ণনা দিচ্ছিলেন ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী মহিমা। মহিমা বলে, ‘মাকে বাবা মারিচ্ছিলো, মার ডাকে আসছি পরে বাবা এ পথে পলায় গেছে।’ বাবার নির্মমতায় মাকে হারিয়ে দিশেহারা সে।
স্বজনরা জানান, গত ২ বছর ধরে লাপাত্তা ছিল মনির। ইট ভাটায় ও মানুষের বাসায় কাজ করে সংসার চালানোর পাশাপাশি দুই মেয়ের পড়াশোনার খরচও চালাতেন শিল্পী। মাত্র ৬ দিন আগে বাড়ি ফিরে শিল্পীর সঞ্চিত টাকা দাবি করে বসে স্বামী মনির। রাজি না হওয়ায় কদিন ধরেই তাদের কলহ চলছিল।
সোমবার রাত ২টার দিকে ছোট মেয়ে মহিমার সামনেই শিল্পীকে ঘরের বাইরে ডেকে নিয়ে এলোপাতাড়ি কোপায় মনির। মাকে বাঁচাতে দৌড়ে লোকজন ডেকে আনতে গেলে পালিয়ে যায় মনির। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথেই মারা যান শিল্পী।
এ ঘটনায় পলাতক মনিরকে ধরতে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন নাটোর পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা।
প্রায় ১৫ বছর আগে সদর উপজেলার আটঘড়ি গ্রামের মনিরের সাথে বিয়ে হয় নারায়ণপুর এলাকার শিল্পীর। তাদের দুই কন্যা সন্তান রয়েছে।