সাহারুল হক সাচ্চু: সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় এবারে সরকারি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম পরিমাণ জমিতে ক্ষিরা ফসলের আবাদ হয়েছে। বন্যার পানি মাঠগুলো থেকে দেরিতে নামায় সময় মতো এর আবাদ শুরু করা যায়নি। একারণে সরকারি লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকেরও কম পরিমান জমিতে এর আবাদ হয়েছে বলে জানা যায়। এদিকে কৃষি বিভাগ থেকে ক্ষিরা ফসলের আবাদ নিয়ে মিথ্যা গুজবে বিশ্বাসী না হতে কৃষকদের মাঝে নানা মাধ্যমে প্রচার প্রচারণা চালানো হচ্ছে। উল্লাপাড়া উপজেলার এবারে ক্ষিরা ফসলের আবাদের সরকারি লক্ষ্যমাত্রা ধরা ছিলো ২শ ৭০ হেক্টর পরিমাণ জমি। উপজেলার উধুনিয়া, মোহনপুর , বড়পাঙ্গাসী, কয়ড়া ইউনিয়ন এলাকায় বিভিন্ন মাঠে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ জমিতে ক্ষিরা ফসলের আবাদ করা হয়ে থাকে। এবারে বন্যার পানি মাঠগুলো থেকে দেরিতে নেমেছে। আর পানি দেরিতে নামায় কৃষকেরা এ ফসলের আবাদ সময় মতো শুরু করতে পারেনি। বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের বক্তব্যে ক্ষিরা ফসল তোলার পর সে সব জমিতে সরিষা আবাদ করা হয়। নাবি করে ক্ষিরা আবাদ করা হলে সে জমিতে সরিষা আবাদ করা যাবে না। এ ভেবেই জমি গুলো পতিত রাখা এবং এখন সরিষা আবাদে নামা হচ্ছে। এদিকে ক্ষিরা ফসলের আবাদ নিয়ে মোহনপুর, বড়পাঙ্গাসী ও উধুনিয়া এলাকায় নানা ধরনের মিথ্যা গুজব রটে। কে বা কারা গুজব ছড়ায় ক্ষিরা ফসলের আবাদ ও কেনা বেচায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ গুজবের বিষয়টি জেনে এলাকার উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ মাঠ পর্যায়ে নেমে কৃষকদের মাঝে মিথ্যা গুজবের বিষয়ে প্রচার প্রচারণা চালায়। উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মামুন অর রশিদ বলেন তিনি এলাকার বীজ ও কীটনাশক দোকানিদেরকে মিথ্যা গুজবের বিষয়ে কৃষকদেরকে জানানো এবং সরাসরি মাঠে নেমে মিথ্যা গুজবের বিষয়ে কৃষকদেরকে জানান। উপজেলা কৃষি অফিসার সুবর্ণ ইয়াসমিন সুমী জানান, কে বা কারা মিথ্যে গুজবটি ছড়িয়েছে । তিনি গুজবের বিভ্রান্ত না হতে কৃষকদের মাঝে মাইকিংসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার প্রচারনা চালানো হয়। এখনোও গুজবের বিভ্রান্ত না হতে প্রচার প্রচারণা চালানো হচ্ছে।