জি.এম.মিন্টু: যশোরের কেশবপুর উপজেলার কন্দর্পপুর গ্রামে পানি নিষ্কাশন পথ বন্ধ ও সরকারি রাস্তা ঘেরের ভেড়ি হিসেবে ব্যবহার করে মাছের ঘের করার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের ত্রিমোহিনী মোড়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কৃষি জমি রক্ষায় এলাকার অর্ধশত কৃষক এ মানববন্ধন কর্মসূচীতে অংশ নেয়। জানা গেছে, ২০১৭ সালে উপজেলার কন্দর্পপৃর গ্রামের হাজরাতলা কুড়বিলের ১২০ জন কৃষকের তিন ফসলি দেড়‘শ বিঘা জমিতে গায়ের জোরে মাছের ঘের করেন মঙ্গলকোট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেনের ছেলে খালিদ হোসেন। ফলে ওই গ্রামের কৃষকরা হাজরাতলা কুড়বিলে ফসল উৎপাদন থেকে বঞ্চিত হন। ঘের মালিক খালিদ হোসেন ওই বিলের পানি নিষ্কাশনের কালর্ভাট বন্ধ ও সরকারি রাস্তা ঘেরের বেঁড়িবাধ হিসেবে ব্যবহার করে মাছের ঘের করেন। শুষ্ক মওসুমে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করে ঘেরটি ভরাট করায় বিলের চারপাশের শতাধিক বসতভিটা, কবরস্থান বছরে ৬ মাস পানিতে তলিয়ে থাকায় মানুষ কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবনযাপণ করেন। কবরস্থান পানিবন্দী থাকায় বিল এলাকার কেউ মারাগেলে অন্যত্র নিয়ে দাফন করতে হয়। খালিদ হোসেন সময়মত কৃষকের হারির টাকা ও বোরো আবাদ করতে দেয় না। ঘের কমিটির সভাপতি আব্দুল লতিফ জানান, সে সময়মত হারির টাকা পরিশোধ করে না এবং কৃষকদের বোরো আবাদ করতে দেয় না। ঘেরে জমি দিতে না চাইলে সে কৃষকদের মারপিট করে। এসব ঘটনায় থানা ও আদালতে একাধিক মামলা হয়েছে। কৃষকরা ঘের করতে দিতে রাজি না হওয়ায় খালিদ হোসেন গত ১৩ মে থেকে ওই বিরোধীয় ঘেরে বিদ্যুৎ চালিত ৩টি সেচপাম্প দিয়ে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করে ভরাট করেন। এতে অধিকাংশ কৃষকের ধান, পাট পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, আব্দুল মান্নান, আব্দুস সোবহান গাজী, আবুল কালাম আজাদ, রুহুল আমীন হিরন, মজিবার রহমান সানা, আমীর আলী মোড়ল প্রমুখ। ঘের মালিক খালিদ হোসেন বলেন, আমার ঘের আমি করবো তাতে সমস্যা কি। কিছু কুচক্রিমহল আমার বিরুদ্ধে থানা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করার ষড়যন্ত্র করে চলেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এমএম আরাফাত হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার উভয়পক্ষকে তার দপ্তরে ডেকে শুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেহেতু বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে, সেহেতু চুড়ান্ত নিষ্পত্তি সম্ভব নয়। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।