বাংলাদেশ প্রতিবেদক: দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের গোয়ালন্দের দিকে যেতেুউ প্রায় ৭ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে গাড়ির দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ঢাকাগামী যাত্রী ও যানবাহন চালকেরা।
নাব্যতা সংকটে মাওয়া ঘাটে ফেরি চলাচলে ব্যাহত ও সাপ্তাহিক ২ দিন ছুটিতেও রাজধানীগামী গাড়ীর অতিরিক্ত চাপ থাকায় দৌলতদিয়া পাটুরিয়া ঘাটে অব্যাহত এ যানজট সৃষ্টি হয়েছে বলে বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন জানান।
শুক্রবার সকাল থেকে দৌলতদিয়া পাটুরিয়া রুটের দৌলতদিয়া প্রান্তে যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। তবে দৌলতদিয়ায় আটকা পরা গাড়ির মধ্যে পন্যবাহী ট্রাক ও কভার্ডভ্যানই বেশি। এছাড়া গোয়ালন্দ মোড়েও ৩ শতাধিক ট্রাক সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার সড়কে শত শত পরিবহন ফেরি পারের অপেক্ষায় রয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাক বৃহস্পতিবার রাত থেকে ফেরি পারের জন্য মহাসড়কে অপেক্ষা করছে।
কুষ্টিয়া থেকে রাজধানী ঢাকাগামী ট্রাকচালক মোস্তফা জব্বার বলেন, শুক্রবার সকাল ৭টায় দৌলতদিয়া ঘাটে এসেছি। এখন দুপুর সাড়ে ১২টা বাজে। ফেরির সিরিয়াল পাইনি।
বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা সাকুরা পরিবহনের চালক মো. বাশার বলেন, দৌলতদিয়া ঘাটে এলেই সিরিয়ালে আটকে বসে থাকতে হয়। প্রচণ্ড গরমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকে চরম ভোগান্তিতে আছেন গাড়িচালক ও যাত্রীরা।
ঢাকায় আত্মীয় বাড়িতে যাচ্ছেন ফরিদপুরের রোকেয়া বেগম। তিনি বলেন, আমি বাসে করে ঢাকা যাচ্ছি। দৌলতদিয়া ঘাটে এসে বাস আটকে আছে প্রায় দুই ঘণ্টার বেশি। এতক্ষণ নদী পার হয়ে ঢাকায় চলে যেতাম।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো: শিহাব উদ্দিন আরো জানান, বৃহস্পতিবার রাতে আসা ট্রাকগুলো এখন মহাসড়কে সিরিয়ালে আছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী বাস ও পচনশীল পণ্যবোঝাই ট্রাক পারাপার করা হচ্ছে। বিকেল নাগাদ পণ্যবাহী ট্রাকের সারিও আর থাকবে না। বর্তমানে দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌ রুটে ১৯টি ফেরি যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে চলাচল করছে।