আবু বক্কর সিদ্দিক: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের তালুক বাজিত গ্রামের আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ (২৬) নামে জামাইয়ের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, শনিবার বিকালে লাশের ময়না তদন্ত শেষে একই ইউনিয়নের রামভদ্র গ্রামে বাবা-মায়ের তত্বাবধানে আরিফের মরদেহ দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
আরিফ উক্ত গ্রামের নূরুন্নবী মিয়ার (ইউপি সদস্য’র) ছেলে। বিগত কয়েক মাস আগে পার্শবর্তী তালুক বাজিত গ্রামের ছলিম উদ্দিনের ছেলে আব্দুস সালাম ওরফে সালামতের ২য় কন্যার সঙ্গে বিয়ে হয়। আরিফ তার কর্মস্থল থেকে বাড়িতে আসলে গত বৃহস্পতিবার আরিফের মা আলেমা বেগম পুত্রবধুকে নিজ বাড়িতে আনতে যান। এ সময় বিয়াই সালামত তার স্ত্রী মরিয়ম বেগম, ছেলে মিন্টু মিয়া, ও জৈষ্ঠ কন্যা নাথী বেগম মিলে আরিফের মা আলেমা বেগমকে চরমভাবে অপমান করে তাদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এরপর আরিফ তার স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসার জন্য শ্বশুর বাড়িতে যান। রাতে আরিফ বিষ (কীটনাশক) পান করে অসুন্থ্য হয়েছেন বলে ধনিয়ারকুড়া বাজারস্থ পল্লী চিকিসক আতাউর রহমানকে ডেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন সালামত। পরে আরিফকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে স্থানীয় জিয়াউর রহমান, কাচু মিয়া, শাহজাহান মিয়া, হাবিবুর রহমানসহ অনেকেই এসব কথা জানান।
এ ব্যাপারে নূরুন্নবী মিয়া (সর্বানন্দ ইউপি সদস্য) মোবাইলফোণে অভিযোগ করে বলেন, তার ছেলে আরিফকে রাতে বিয়াই, পুত্রাসহ পরিবারের সবাই মিলে নির্যাতনের পর গ্লাসে (পানি পানের পেয়ালা) করে মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে হত্যা করেছে। তিনি এ ঘটনার জন্য যথাযথ বিচারের দাবী করেন। এ নিয়ে আব্দুস সালাম ওরফে সালামতসহ তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে কাউকে পাওয়া যায়নি। এমনকি, বাড়িঘরের প্রবেশদ্বারে তালাবদ্ধ করে আত্মগোপনে রয়েছে বলে একাধিক তথ্য নির্ভর সূত্র জানিয়েছে।
থানার এসআই সাইদুর রহমান জানান, এ ঘটনায় একটি জিডি করে লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হলে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। থানা অফিসার ইনচার্জ সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি জিডি রুজু করা হয়েছে।