জয়নাল আবেদীনঃ প্রতিহিংসার জেরে যুবলীগ নেতাকে রগ কেটে হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী সুন্দরগঞ্জের সোনারায় ইউনিয়ন ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মারুফ মিয়া সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৩।
বুধবার বেলা ১২টায় র্যাব-১৩‘র কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে অধিনায়ক আরাফাত রহমান এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে ভিকটিম জাহিদুল ইসলামকে বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ জামায়াত ও বিএনপির কিছু দুস্কৃতিকারী হুমকি, ভয়ভীতি দেখিয়া আসছিল।
গত ১২ নভেম্বর রাতে ভিকটিম জাহিদুল ইসলাম মোটরসাইকেল যোগে সুন্দরগঞ্জ থানার বামনডাঙ্গা হতে ছাইতনতলা আসার পথে শাখামারা ব্রীজের উপরে পৌঁছামাত্র পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অভিযুক্ত আসামীরা অতর্কিত হামলা করে ভিকটিমকে এলোপাথারীভাবে লোহার রড, চাইনিজ কুড়াল, ধারালো ছোরাদারা আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। পরবর্তীতে এলাকাবাসী ভিকটিমকে সুন্দরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে এবং ভিকটিমের অবস্থা আশঙ্খাজনক দেখে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন । পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে মৃত্যু বরণ করেন।
উক্ত ঘটনার পর পরই আসামীরা বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে। এরই প্রেক্ষিতে পুলিশ ২৩ জন নামে ও অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা রুজু করে। দেশের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং নাশকতা কারীদের বিরুদ্ধে র্যাবের চলমান অভিযানের অংশ হিসেবে র্যাব-১৩, বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত পর্যালোচনা এবং গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। গোপন সংবাদের- ভিত্তিতে গত ১৪ নভেম্বর ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানাধীন হরিপুর ইউনিয়নের রাঘবচর এলাকা হতে জয়নাল মিয়া, রংপুরের পীরগাছা হতে মোজাম্মেল হক রংপুর মহানগরীল কোতয়ালী থানা এলাকা মারুফকে গ্রেফতার করে ।
র্যাব অধিনায়ক আরো বলেন, আসামীগণ হত্যার ব্যাপারে সকল তথ্য প্রদান করেন। তাদের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।এ সময় র্যাব- ১৩র অন্যান্য কর্মকর্তা ও ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।