আতিউর রাব্বী তিয়াস: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দলের শৃংখলা রাখতে না পরলে যতবড় নেতা বা জনপ্রতিনিধিই হোন না কেন দল তাকে ছাড় দেবে না। শেখ হাসিনা সরকার দলের মধ্যে যারা অপকর্ম করছে, দূর্নীতি করছে কাউকে কিন্তু আমাদের নেত্রী ছাড় দিচ্ছেন না’। তিনি আরো বলেন, আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে ও জনগনের কাছ থেকে নির্বাচনে প্রত্যাক্ষিত হয়ে প্রতিপক্ষ হিসেবে তারা দাড় করিয়েছে জনগন, পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনকে। নির্বাচনে ভোট দেয় জনগন, নির্বাচন কমিশন তো ভোট দেয়না। তারা নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে কথা বলে তাহলে তারা বিভিন্ন পৌরসভায় নির্বাচনে বিজয়ী হলো কিভাবে। আসলে তারা ক্ষমতার রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়ে এখন দিশেহারা ও পথ হারা হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন,বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরি নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সবার মাথাপিছু আয় দিন দিন বেড়েই চলছে। আমরা আগামীতে দেশকে আরো কিভাবে উন্নত করা যায় এ লক্ষ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছি। আজ বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে আক্কেলপুর সরকারী মুজিবুর রহমান কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির হিসেবে ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সর মাধ্যমে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। সকাল ১০টার দিকে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে বেলুন, ফেস্টুন ও কবুতর উড়িয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যার আরিফুর রহমান রকেট। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোকছেদ আলী মাষ্টারের সভাপতিত্বে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসরের সঞ্চালনায় উপজেলা ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,
জয়পুরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য ও হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, আওয়ামী লীগের রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক- সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, জয়পুরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এ্যাড. সামছুল আলম দুদু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ-সম্পাদক মো. জাকির হোসেন মন্ডল। উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়। নতুন কমিটি গঠনের জন্য শহরে ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টারে ভরে গেছে। সকাল থেকে দলে দলে বিভিন্ন এলাকা হতে হাজার হাজার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা ব্যানার, ফেস্টুন হাতে নিয়ে মিছিলের মাধ্যমে সম্মেলনে উপস্থিত হন।