জয়নাল আবেদীন: দূর্নীতির মামলায় কালের কণ্ঠ’র রংপুর অফিসের ফটো সাংবাদিক গোলজার রহমান আদর গ্রেফতারের প্রতিবাদে এবং দ্রুত মুক্তির দাবিতে সর্বস্তরের সাংবাদিকদের আয়োজনে মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়েছে ।
শনিবার দুপুরে রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে কর্মরত সাংবাদিক সমাজের উদ্যোগে মানবন্ধন এবং সমাবেশে বক্তারা বলেন ঠিকাদারি কাজের ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনের তৎকালীন ক্যামেরাপারসন গোলজার রহমান আদরের নির্বাহী ও প্রশাসনিক কোন ক্ষমতা ছিল না। অথচ তাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সাক্ষী থেকে আসামি করে গ্রেফতার করা হয়েছে। রংপুরের সাংবাদিকরা এক ও অভিন্ন। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাই।এসময় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, আদরকে গ্রেফতারের ঘটনাটি বাংলাদেশে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। সাক্ষী থেকে আসামি করার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে সারাদেশে বৃহত্তর আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়া হবে। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের শনাক্ত করে তাদের আইনের আওতায় নেওয়ার অনুরোধ জানান সাংবাদিকবৃন্দ।প্রসঙ্গত, রংপুর সিটি করপোরেশনের তৎকালিন মেয়র সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টুর সময়কালে আদর রহমান ক্যামেরাপারসন হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
ওই সময় সিটি করপোরেশনের তৎকালিন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আকতার হোসেন আজাদ ( বর্তমানে পরিচালক দুদক কেন্দ্রীয় কার্যালয় কর্মরত )ও প্রকৌশলী এমদাদ হোসেনের বিরুদ্ধে ৩০ কোটি টাকা নয়ছয় করায় দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। ওই ঘটনায় আদর রহমান ছিলেন সাক্ষী। পরে প্রভাবশালী ওই চক্রকে রেহাই দিতে সাক্ষী থেকে আদর রহমানকে আসামি করে গত ১৫ ফেব্রæয়ারি দুদকের রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. নুর আলম আদালতে একটি অভিযোগপত্র দায়ের করেন। এ মামলায় গ্রেফতার করা হয় আদর রহমানকে। বর্তমানে রসিকে কর্মরত আছেন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এমদাদ হোসেন। বক্তব্য প্রদান করেন রংপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রফিক সরকার সিটি প্রেসক্লাবের সভাপতি কালের কণ্ঠ’র রংপুর অফিস প্রধান স্বপন চৌধুরী, রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহ্ বায়েজিদ আহমেদ, কালের কণ্ঠ শুভসংঘ রংপুর জেলা শাখার সভাপতি ইরা হক, রংপুর মহানগর আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি সিরাজুম মনির বাশার ।