এস কে রঞ্জন: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় খেপুপাড়ার সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী হৈমন্তি শুক্লা যৌণ হয়রাণীর লজ্জা সইতে না পেরে গত ২৭ অক্টোবর দুপুরে নীলগঞ্জ ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামের ভাড়া বাসার নিজ কক্ষে ফ্যানের সাথে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে হৈমন্তি শুক্লার পিতা হাজীপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতির অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জ সুনিল চন্দ্র হাওলাদার গত ২৯ অক্টোবর পাঁচ বখাটের বিরুদ্ধে কলাপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ পটুয়াখালীর র্যাবের সহায়তায় প্রধান আসামী সুমন ও জহিরকে বুধবার রাতে গ্রেফতার করে। পুলিশ পটুয়াখালীর র্যাবের সহায়তায় প্রধান আসামী সুমন ও জহিরকে বুধবার রাতে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয় এবং সুমনকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মো. নুরুজ্জামান। মামলায় কলাপাড়া পৌর শহরের রহমত পুর এলাকার সেলিম মেকারের ছেলে মো. সুমন (২০), ইউনুচের ছেলে মো. শান্ত (২০), তাঁর চাচা মো. জহির (৪০), মিজানুর রহমানের ছেলে মো. শিশির (২২) ও নাইয়াপট্রি এলাকার জিসানকে (২০) আসামী করা হয়। কলাপাড়া থানার ওসি(তদন্ত) মো. আসাদুর রহমান জানান, পুলিশ খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়ে হৈমন্তি শুক্লার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী প্রেরণ করেন। তাঁর মৃত্যুর কারন অনুসন্ধানের জন্য ঘটনার পর থেকেই পুলিশ কাজ করছে। মামলার অপর তিন আসামীকেও গেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান।