তাবারক হোসেন আজাদ: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বৃদ্ধ কৃষককে (৭০)সহ তার দুই ছেলেকে পিটিয়ে জখম করার মামলা তুলে নিতে হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। বাদি মা’কে মারধরের চেষ্টাও চালানো হয়েছে। রোববার রাতে বাদির বাড়িতে গিয়ে তার মাকে মামলা তুলে না নিলে ক্ষতি করার হুমকি দেয়া হয়। এঘটনায় সোমবার বাদি আদালতকে অবহিত করবেন বলে জানান।
গত শনিবার দুপুরে দোকানের পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে একই এলাকার বখাটে রশিদ আখন (৭০) কে সোলার ঝাড়ু ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়। একই দিন বিকালে আহত বৃদ্ধ’র দুই ছেলে ইসমাইল ও মুজাফ্ফরকে মারাত্নক আহত করে টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায় জহির ও তার বাবাসহ লোকজন। এঘটনায় আহত বৃদ্ধ রায়পুর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এঘটনায় রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) আহত বৃদ্ধ’র ছেলে চা দোকানি আলআমিন বাদি হয়ে একই এলাকার অভিযুক্ত বখাটে জহির, তার পিতা রহিম আখন ও ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা রুবেল আখনসহ ৫/৬ জনকে আসামি করে লক্ষ্মীপুর আদালতে মামলা করেছিলেন।
ঘটনাটি ঘটেছে, শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ও বিকালে রায়পুর উপজেলার দক্ষিন চরবংশি ইউপির চরকাছিয়া গ্রামে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আহত বৃদ্ধ রশিদ আখন বলেন, মোল্লারহাটের বটতলি এলাকায় তাদের দোকান থেকে এক মাস আগে বাকিতে ১৫’শ টাকা নেয় এবং হাওলাত হিসেবে ৫ হাজার টাকা নেয় জহির । শনিবার সকালে জহির ঢাকা থেকে বাড়িতে এসে তাদের দোকানের সামনে আসে। এসময় পাওনা টাকা চাইতে গেলে তাকে ও তার ছেরে আলআমিনকে মারধরের হুমকি দেয় জহির। শনিবার দুপুরে মেম্বার ও তার ছেলে রুবেলের নির্দেশে মসজিদে যাওয়ার সময় বৃদ্ধ রশিদকে হামলা করে পালিয়ে যায় জহির। এসময় স্থানীয় লোকজন রশিদ আখনকে উদ্ধার করে রায়পুর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। বিকালে বৃদ্ধ’র দুই ছেলে ইসমাইল ও মুজাফ্ফর গরু-ছাগল বিক্রি করে বাড়ি যাচ্ছিলেন। এসময় তাদের উপর রহিম আখনসহ তার লোকজন হামলা করে নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। বৃদ্ধ’র মাথায় তিনটি সেলাই দেয়া হয়েছে বলে ডাক্তার জানিয়েছেন।এঘটনার প্রায় ৮ মাস আগে জহিরের স্বজন স্থানীয় মেম্বার ফারুখ ও তার ছেলে ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা রুবেলের কাছ থেকে ১৬ হাজার টাকা পাওনা নিয়ে আমিসহ আমার পরিবারের ৪ জন হামলার বিচার পায়নি। তারা এলাকায় মানুষের ক্ষতি করছে।
এঘটনায় অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ফারুখ হোসেন বলেন, এঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানিনা। রশিদ আখনের সাথে অনেক আগে মারামারি হয়েছে, তা মিমাংসাও হয়েছে। এখন আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। অভিযুক্ত জহির পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
রায়পুর থানার ওসি আবদুল জলিল বলেন, এঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থরা আদালতে মামলা করেছেন, তা শুনেছি। গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কাগজ এখনো হাতে আসেনি। মামলা তুলে নিতে হুমকির ঘটনাটি তদন্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে।