শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪
Homeসারাবাংলামিঠাপুকুরে ইউপি নির্বাচনে ৫ লাখ টাকায় এক সদস্যকে জিতিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি, অডিও...

মিঠাপুকুরে ইউপি নির্বাচনে ৫ লাখ টাকায় এক সদস্যকে জিতিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতি, অডিও ক্লিপ ফাঁস

জয়নাল আবেদীন: রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলা ইউপি নির্বাচনে মাত্র ৫লাখ টাকায় এক সদস্যকে জিতিয়ে দেয়ার প্রতিশ্রুতির অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়ে পড়ায় জেলা এবং আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা বিব্রত হয়ে পড়েছেন । এদিকে ওই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে উপজেলা থেকে প্রত্যাহার করে নিতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বরাবর আবেদন করেছেন সিদ্ধান্ত এলে দ্রুত তা কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন রংপুর সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন ।

জানা গেছে আগামী ৭ ফেব্রুআরি মিঠাপুকুর উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে । এই নির্বাচনকে ঘিরে চলছে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা। প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগের পাশাপশি আচরণবিধি লঙ্ঘনেরও অভিযোগ উঠেছে। এরই মাঝে প্রার্থী ও নির্বাচন কর্মকর্তার গোপন চুক্তির অডিও ক্লিপ ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়েছে। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান উপজেলার বালারহাট ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী রফিকুল ইসলাম ফুটবল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। ভোটযুদ্ধে ৫ লাখ টাকার বিনমিয়ে রফিকুলকে জয়ী করতে ভোটকেন্দ্র থেকে প্রতিপক্ষের লোকজনকে বের করে দেওয়া এবং ভোটের আগেই অনন্তত ৩শ ব্যালট পেপার সরবরাহের চুক্তি করেছেন মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান। ফাঁস হওয়া অডিওতে শোনা যায় আব্দুল হান্নান ওই ইউপি মেম্বার প্রার্থীকে বোঝাচ্ছেন; নির্বাচন করতে গেলে প্রতিদিনই ১০ হাজার করে টাকা ব্যয় হবে ও তাতে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা খরচ হবে। সেটি করলেও তাতে নির্বাচিত হওয়ার কোনো গ্যারান্টি নেই। বরং তার সঙ্গে পাঁচ লাখ টাকার চুক্তি করলে তিনি যেভাবেই হোক তাকে জিতিয়ে দেবেন। প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও প্রশাসনের সহযোগিতায় তিনি রফিকুলকে জিতিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রæতিও দেন এ সময়।

এ ব্যাপারে বালারহাট ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ফুটবল মার্কার মেম্বার পদপ্রার্থী রফিকুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি গোপন চুক্তির বিষয়টি প্রকাশ হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ভোটে জেতার জন্য দুই দফায় এলাকার একজন শিক্ষকের মাধ্যমে চুক্তি অনুযায়ী দুই দফায় ওই নির্বাচন কর্মকর্তাকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা দিয়েছেন।তবে পুরো অডিও ফাঁস হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান। তিনি বলেন একটি পক্ষ মিথ্যা ও ভিত্তিহীনভাবে তার বিরুদ্ধে এসব অডিও তৈরি করে ছড়িয়ে দিয়েছে। তিনি রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে কোনো টাকা গ্রহণ করেননি। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টার কারণে রফিকুলকে প্রধান আসামি করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান তিনি ।

এ ব্যাপারে সাংবাদিক বান্ধব আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জি. এম. সাহাতাব উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন বুধবার বিকেলে ঘটনা জানার পর পরই পুরো ঘটনাটি যাচাই-বাছাই করে দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা নির্বাচন কর্মকতাকে বলেন এবং তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনেও বিষয়টি অবহিত করেন । এছাড়াও সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বলেন, ভাইরাল হওয়া অডিও রেকর্ডটি আমরা শুনেছি। তাকে মিঠাপুকুর উপজেলা থেকে প্রত্যাহার করে নিতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বরাবর আবেদন করা হয়েছে।

আজকের বাংলাদেশhttps://www.ajkerbangladesh.com.bd/
আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল নিউজ পেপার এখন দেশ-বিদেশের সর্বশেষ খবর নিয়ে প্রতিদিন অনলাইনে । ব্রেকিং নিউজ, জাতীয়, আন্তর্জাতিক রিপোর্টিং, রাজনীতি, বিনোদন, খেলাধুলা আরও অন্যান্য সংবাদ বিভাগ । আমাদের হাত বাধা নেই, আমাদের চোখ খোলা আমরা বলতে পারি ।
RELATED ARTICLES
- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments