হুমায়ুন কবির: জমি সংক্রান্ত বিরুধের জেরে প্রতিবেশি সাইদুল ইসলাম এমদাদুল হক গংদের বিরুদ্ধে গৃহবধূকে নির্মম নির্যাতন করে ব্রীজের পাশে ফেলে রাখার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের তারাকান্দিয়া রাজিবপুর গ্রামে। এ ঘটনায় গৃহবধুর স্বামী মুজিবুর রহমান খান বাদী হয়ে কেন্দুয়া থানায় মামলা করলে পুলিশ নির্যাতনকারী শাহাবুদ্দিন ও এমদাদুল হক কে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায়। আসামীরা জামিনে বেরিয়ে এসে হত্যার হুমকি দেয়ায় পরিবারটি এখন অসহায় ও আতংকের মাঝে দিন কাটছে বলে নির্যাতিতের পরিবারের লোকেরা দাবী করেন। মামলা ও অন্যান্য সূত্রে জানা যায়, তারাকান্দিয়া গ্রামের মজিবুর রহমান খানের সাথে একই গ্রামের প্রতিবেশী সাইদুল ইসলামের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত ১২ এপ্রিল মজিবুর রহমান বাড়ীতে না থাকার সুবাধে প্রতি পক্ষের সাইদুল ইসলাম, এমদাদুল, সুমন মিয়া, শাহাবুদ্দিন, হক মিয়া, রুকন উদ্দিন, রোমন মিয়া, জিয়াউর রহমান গংরা, দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত হয়ে বাড়ী ঘরে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাঠ করে টাকা পয়সা স্বর্নালংকারসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে যায়। এসময় স্ত্রী জহুরা আক্তার বাধা দিলে তাকে মারধর করে টেনে হিচরে নিয়ে মৃত ভেবে হাওরের ব্রীজের কাছে ধান ক্ষেতে ফেলে রাখে। পরে লোকজন গিয়ে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় স্বামী মজিবুর রহমান বাদী হয়ে গত ১৬ এপ্রিল ১২ জনকে আসামী করে কেন্দুয়া থানায় মামলা করেন। আসামী ৩ জন ব্যাতিত অন্যরা জামিনে মুক্ত হয়ে বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছে বলে বাদী মুজিবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান ।